একটি বিবাহের মাধ্যমে তৈরি হয় একটি সম্পর্ক যা দুটি বিপরীত লিঙ্গের মানুষের দ্বারা আবদ্ধ। এই মানুষ দুটির দ্বারা গড়ে উঠে একটি পরিবার।
একটি ইট কাঠের দালানকে ঘর বনিয়ে তুলতে যেমন একজন স্বামীর অবদান আছে তেমন একজন স্ত্রীও সমান অবদান রাখেন। মূলত একটি সংসারে সৃস্টিতে স্বামী-স্ত্রী দুইজনের ভূমিকাই মুখ্য। একজন স্বামী যেমন তার স্ত্রীকে ছাড়া পূর্ণ মানুষ হতে পারেন না তেমন একজন স্ত্রী তার স্বামীকে ছাড়া পূর্ণ মানুষ হতে পারেন না এবং তাদের দুজনের দ্বারা তৈরী হয় একটি পরিবার আর এই পরিবারকে সুখি করতে অবশ্যই তাদের দুইজনের মধ্যে থাকতে হবে সম্মান, ভালোবাসা ও বন্ধুত্ত। তারা কখনো একে অন্যের মনে কষ্ট দিয়ে কটু কথা বলবে না। স্বামীকে যেমন তার স্ত্রী সম্মানের সাথে সাহায্য করবেন তেমন স্ত্রীর সাথেও তার স্বামীকে সম্মান নিয়ে জীবন পরিচালিত করবেন। কোনো স্বামীর উচিত না তার স্ত্রীকে কষ্ট দিয়ে কথা বলা।
চলুন জেনে নেই যে পাঁচটি কথা একজন স্বামীর কখনোই তার স্ত্রীকে বলা উচিত নয়।
(এবং অবশ্যই পাঠক 🙂 আপনি যদি একজন ভালো স্বামী হয়ে থাকেন তাহলে কখনোই আপানার স্ত্রীকে এই কথা গুলো বলবেন না 🙂 । )
১. কখনো অন্য নারীর সাথে নিজের স্ত্রীকে তুলনা করবেন নাঃ
স্ত্রীকে কখনো তুলনা করবেন না। এমনকি নিজের মায়ের সাথেও নয়। মা মায়ের জায়গাতে সুন্দর এবং স্ত্রী তার জায়গাতে। তারা দুজনেই আপনার জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ন। সাধারণত মেয়েরা কখনো নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করতে পছন্দ করে না।
২. কখনো তার বাবা- মা নিয়ে তাকে কটুক্তি করবেন নাঃ
বাবা-মা সব সন্তানের কাছে প্রিয়৷ কারন বাবা-মাই আমাদের পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন। একটি মেয়ের কাছে তার বাবা-মা অনেক আপন হয়ে থাকে কারণ তারা তাদের দীর্ঘ জীবন তার বাবা-মার কাছে থাকেন কিন্তু একটা সময় তাকে সব কিছু ছেড়ে তার স্বামীর ঘরে যেতে হয়। এজন্য স্ত্রীর পরিবার অথবা তার বাবা-মা নিয়ে কখনো কিছু বলবেন না।
৩. স্ত্রী যদি গৃহিনী হয়ে থাকে তাহলে তাকে তার কাজের জন্য কখনো খোটা দিয়ে কথা বলা উচিত নয়ঃ
সব সময় মনে রাখবেন আপনার স্ত্রী গৃহিনী হয়েছেন শুধুমাত্র আপনার সন্তান ও আপনার পরিবারকে সাজিয়ে রাখার জন্য। আপনার সন্তানের জীবনকে সুন্দর করতে সে তার জীবনকে বির্সজন দিয়েছেন। তাই তার কোনো কাজ যদি আপনার ভালো না লেগে থাকে তাকে বুঝিয়ে বলুন ও তাকে তার কাজে সাহায্য করুন।
৪. তার সাথে কখনো উচ্চস্বরে কথা বলবেন নাঃ
স্ত্রীর সাথে উচ্চস্বরে কথা বললে তার মনে আপনার প্রতি ঘৃনাবোধ তৈরি হতে পারে। যেটা আপনার জন্য খুবই অপমান জনক বিষয়। একজন স্ত্রী সব সময় চায় তার স্বামী তাকে সম্মান করুন আর এই সম্মানটুকু তার প্রাপ্য৷ মাঝে মাঝে তার প্রয়োজন বোঝার চেস্টা করুন। সে নিজে আপনার পছন্দমত চলার চেষ্টা করবে। মাঝে মাঝে আপনি তার কাজে সাহায্য করুন দেখবেন সে খুব খুশি হয়েছেন।
৫. খাওয়া নিয়ে কখনো খোটা না দিবেন নাঃ
অনেক স্বামীই আছেন যারা বুঝে অথবা না বুঝে স্ত্রীকে খাওয়া নিয়ে দু-চারটা কথা বলেই থাকেন। যেমন ধরুন তুমি এত খাও কেন অনেক মোটা হয়ে যাচ্ছো। কিন্তু কখনোই কোনো মানুষকে তার খাওয়া নিয়ে কথা বলা উচিত নয়। মনে রাখবেন কেও একটু বেশি খেতেই পারেন আবার কেও অনেক কম। তার প্রতি সচেতন থাকলে তাকে খুবই নম্রতার সাথে বুঝিয়ে বলুন তার মনে আঘাত দিয়ে নয়।
একে অপরকে সম্মান, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও বন্ধুত্ত দিয়ে গড়ে তুলুন আপনাদের সংসার।