বাংলাদেশের ক্রিকেটে মাশরাফি বিন মর্তুজা এক কিংবদন্তিতুল্য নাম। অনেকের ক্রিকেটের প্রথম ভালোবাসা, দেশের সফলতম ওয়ানডে ক্যাপ্টেন।
সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন সেই কবে! অবসর নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি থেকেও। একটা সময় ছিলো যখন পার্ফম্যান্স, অধিনায়কত্ব আর ডেডিকেশনের জন্য মাশরাফি ছিলেন অটোমেটিক চয়েস।
কিন্তু সময় তো আর সবসময় সমান যায় না, ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচে পেয়েছিলেন ১ উইকেট। তারপর থেকে তেমন বলার মত পার্ফম্যান্স নেই। শেষ ওয়ানডে খেলেছেন গত বছরের মার্চে। ছিলেন না সদ্য সমাপ্ত প্রেসিডেন্টস কাপেও। তাঁর ফিটনেস নিয়েও সন্তুষ্ট নয় বোর্ড।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে ভালো খেললেও টি-টোয়েন্টির পার্ফম্যান্স দিয়ে তো আর ওয়ানডে দলে জায়গা পাওয়া যায় না। কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় অনুপস্থিত তিনি।
এসব নিয়ে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, পার্ফম্যান্স আর ভবিষ্যৎ বিবেচনায় মাশরাফির জন্য দলে জায়গা পাওয়া কঠিন।অটো চয়েস মাশরাফিই এখন হয়ে গেছেন নির্বাচকদের গলার কাঁটা। না পারছেন তাঁকে দলে রাখতে, না পারছেন বাদ দিতে।
এতদিনে দল ঘোষণা হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে যাচ্ছে। ২৪ জনের প্রাথমিক দলের দুই ভাগে ভাগ হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা। কিন্তু এখানে মাশরাফিকে রাখা হবে কিনা সেটা নিয়ে হচ্ছে জল্পনা-কল্পনা।
কারণ মাশরাফির মত অভিজ্ঞ একজনকে বেঞ্চে বসানো অসম্ভব। তাই অনেকেই চাইছেন তাঁকে দলেই না রাখতে। এছাড়া বর্তমানে দলের পাইপলাইনে পেসারেরও অভাব নেই।
এখন দেখার বিষয় মাশরাফি কি দলে থেকে অতীতের অসংখ্যবারের মত ফিরে আসতে পারেন নায়কের বেশে নাকি শেষ হয়ে যাবে জাতীয় দলের মাশরাফি অধ্যায়? দেখা যাক নির্বাচকরা কি সিদ্ধান্ত নেন। বলটা যে এখন তাঁদেরই কোর্টে!