প্রিয় বন্ধুরা আজ আপনাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। যা শুধু আয় বিষয় না এর মাধ্যমে জানতে পারবেন আমরা যে সকল বিল পে করে থাকি, কি করে সেই বিল থেকে টাকা সঞ্চয় করা যায়। অর্থাৎ পূর্বের চেয়ে বিল কমিয়ে আনা। এর জন্য মনযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ বিষয়টি পড়ুন। এবং আপনার মন্তব্য জানান।
আমরা যে ৫টি উপায়ে আমাদের গ্যাস, বিদ্যুৎ, এবং অন্যান্য বিল কমিয়ে আনবো।
১। সঠিক ব্যবহার: প্রথমত বিদ্যুৎ বিল নিয়ে আলোচনা করা যাক। আমাদের এটি প্রতি মাসের সমস্যা মাস শেষে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ দেখলে মাথা গুরিয়ে যায়। ব্যবহার করেছি ৫০০ টাকার বিদ্যুৎ বিল আসছে ৫০০০ টাকা। কেন? কি করে এর থেকে রক্ষা পাব ? এর জন্য কিন্তু আমরা নিজেরাই দায়ী। কিভাবে? চলুন তাহলে জানা যাক।
আপনি দীর্ঘক্ষন টিভি দেখার পরে। টিভিটি রিমোট দিয়ে অফ করে চলে গেলেন। কি হলো এতে টিভি তো বন্ধই হলো কিন্তু পাওয়ার কি বন্ধ হয়েছে? না তাহলে বিদ্যুৎ তো চলতেই থাকলো এবং তার সাথে আপনার বিলের অঙ্কটাও বাড়ছে। তাহলে কেন আপনার বিল ৫০০০ টাকা আসবে না। আমরা বর্তমানে সকল কিছুর মধ্যে বিদ্যুৎ্ এর মাধ্যমে চলে এমন আসবাবপত্রের সংখ্যা বেশি। তাহলে যখনই আমরা এগুলোর ব্যবহার করা শেষ করব তখনই আমরা সম্পূর্ণভাবে সেগুলো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে রাখবো। এতে করে আমাদের বিল থেকে অনেক টাকা আমাদের সঞ্চয় হবে।
২। অনলাইন পরিশোধ: আমরা এখন কি করি আমাদের বিল গুলো বেশিরভাগই আমরা অনলাইন এর মাধ্যমে দিয়ে থাকি। আমাদের টাকা অপচয় এর একটি কারণ। হ্যা আমাদের চারপাশে সবকিছুই নতুন নতুনভাবে আবিষ্কার হচ্ছে তাই হতো আমরা বিল গুলো অনলাইন এর মাধ্যেমে দিতে বেশি সহজ মনে করি। বিষয়টা সহজ হলেও ব্যয়বহুল। আমাদের সকল বিল অনলাইনের মাধ্যমে না দেওয়ায় ভালো। যেমন বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল ইত্যাদি সরকারি বিলগুলি। কারণ আপনি এই বিলগুলো অনলাইন থেকে পরিশোধ করতে গেলে তারা কখনো আপনাকে ক্যাশ ব্যাক অফার করবে না বরং চার্জ কেটে নিবে।এতে বিল তো বেশি আসছে অন্যদিকে চার্জ ও বেশি যাবে দু দিক থেকে ক্ষতি হচ্ছে। এখন করনিয় হলো যদি এই বিল গুলো একটু কষ্ট করে যে কোন নিকটস্থ ব্যাংক থেকে পরিশোধ করি তাহলে তারা কোন অতিরিক্ত চার্জ নিবে না আপনার থেকে। অনলাইন বিল পরিশোধ আমাদের অলস তুলছে এর জন্য আমরা এটাকে পছন্দ করি। ব্যাংকে গিয়ে বিল দিলে আপনি দুদিক থেকে লাভবান আপনার অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণটা বিল থেকে সঞ্চয় হয়ে থাকছে এবং আপনার শারীরিক ব্যায়ামও হচ্ছে।
৩।সাশ্রয় সরঞ্জাম ব্যবহারঃ যেহেতু আমাদের পরিবারে প্রায় বেশকিছুই বিদ্যুৎ এর সাহায্যে চলে থাকে। সে ক্ষেত্রে আমরা সাশ্রয়ি বৈদ্যতিক যন্ত্র ব্যবহার করবো। যেমন বাসার লাইট হিসাবে আমরা কম ওয়াটের এনার্জি বাল্ব বা এল.ই.ডি লাইড ব্যবহার করতে পারি। এগুলো সাধারন বাল্ব এ তুলনায় অনেক কম বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়ে থাকে।
আর যাদের গ্যাসের মাধ্যমে রান্না তারা যদি গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করে সে ক্ষেত্রে চুলায় একটি তারের ঝাক লাগিয়ে নিতে হবে। এতে করে কম গ্যাস এই তারের ঝাকটি অধিক গরম হবে এবং রান্নাও দ্রুত হবে তার সাথে বিল থেকে টাকাও সঞ্চয় হবে।
৪।এসির সঠিক ব্যবহারঃ আমরা যারা এসি ব্যবহার করে থাকি। তারা কি করে বিল থেকে টাকা সঞ্চয় করতে পারবে। এই জন্য তাদের যা করতে হবে। ভালো এবং উন্নত মানের এসি ক্রয় করা।সবসময় এসি ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে রাখা এবং রুম যতেষ্ট পরিমানে ঠান্ডা হয়ে গেলে এসি বন্ধ করে ফ্যান চালু করা। এইভাবে অনেক টাকা বিল থেকে সঞ্চয় করা যেতে পারে।
৫। প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার: প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহারের মাধ্যমে তো আমরা একেবারে বিদ্যুৎ বিল থেকে মুক্তি পাবো। প্রাকৃতিক সম্পদ বলতে সৌর বিদ্যুৎ এর কথা বলা হয়েছে। শুধু আপনি একবার খরচ করে কিনবেন এবং সারা বছর বিল থেকে মু্ক্তি পাবেন। যেখানে সাধারন বিদ্যুৎ এর লোড সেডিং হয়ে থাকে সেখানে সৌরবিদ্যুৎ এ কোন লোডসেডিং হয়। আর বিলের ঝামেলাওনাই তাহলে সব থেকে বেশি উপকারি হবে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার । বিদ্যুতের মতো সৌর চুলাও রয়েছে যেখানে গ্যাসের ঝামেলাও নেই এবং তার সাথে বিলের। আর এর মাধ্যমে আপনার বিলের সব টাকায় সঞ্চয় হয়ে থাকবে।