এখানে কিছু উদাহরণ দেয়া হলো আপনি কিভাবে বোঝাবেন আপনার সন্তানকে সে অনেক গুরুত্বপূর্ণঃ
প্রতিটি সন্তানের ভিতর আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে যা তাদেরকে প্রকৃতিকে বোঝাতে সাহায্য করে যে তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটাই তাদেরকে আলাদা করে। একজন বাবা-মা হিসেবে আমাদের উচিৎ তাদের আস্তে আস্তে বেড়ে উঠার সাথে সাথে তাদের ভিতরের পরিবর্তনগুলোকে বোঝা।
মনে রাখবেন যখন আপনি তাদেরকে বিভিন্ন কাজে উৎসাহ দিবেন যেমন ধরুন গান করা, নাচ অথা আবৃতি অথবা ছবি আকা তখন খেয়াল করবেন সে আপনাকে বলার চেষ্টা করছে সে কি পছন্দ করে। সে ভবিষ্যতে কি করতে চায় সেটা তার কথা মাধ্যমে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবে।
বাবা-মা হিসাবে স্রস্টা আমাদেরকে কিছু আলাদা অনুভুতি দিয়েছেন। আমাদের সন্তানদেরকে বোঝার ক্ষমতা দিয়েছেনে। আমাদের অবশ্যই উচিত তাদেরকে নিজেদের বুঝতে সাহায্য করা। আমাদের সন্তানদের অবশ্যই বোঝাতে হবে যে স্রস্টা তাদেরকে কিছু আলাদা গুনাবলি দিয়েছেন যা সবার থেকে আলাদা।
এখানে কিছু উদাহরণ দেয়া হলো আপনি কিভাবে বোঝাবেন আপনার সন্তানকে সে অনেক গুরুত্বপূর্ণঃ
- একসাথে অনুপ্রেরণামূলক বই পড়ুন। একসাথে বই পড়ার মাধ্যমে আপনার সন্তানকে তার জায়গা বোঝাতে পারেন। জীবন কেন্দ্রিয় বইগুলো পড়তে সাহায্য করতে পারেন। এতে করে তাদের জীবনপথ চলতে সাহায্য হবে৷
- সন্তানের প্রতিভা ও দক্ষতা সম্পর্কে আলোচনা করুন। আপনি তার সুন্দর প্রতিভাগুলো নিয়ে আলোচনা করুন। তাকে তার কাজের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করুন। এতে করে তার নিজের উপর বিশ্বাস স্থাপন হবে।
- সপ্তাহে একটি পারিবারিক দিন রখুন।অন্তত সপ্তাহে একদিন সপরিবারে সময় কাটান। আপনার তাহলে পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল হবে।
- তাকে সাহায্যের জন্য বলুন।তাকে বলুন আপনার তার সাহায্যের প্রয়োজন। আপনার বাকি জীবনে আপনার সন্তানকে পাশে চান। আপনার সন্তান বুঝতে পারবে সে কতটা গুরুত্বপূর্ণ আপনার কাছে।
- দিনের ভালো ও খারাপ সময় গুলো দিন শেষে তার সাথে শেয়ার করুন। রাতে শুতে যাওয়ার সময় তাকে জানান আপনার ভালোলাগা ও খারাপ লাগার ব্যাপার গুলো। সেও আপনার সাথে তার ভালো সময় ও খারাপ সময় সম্পর্কে জানাবে।
- সন্তানের টিফিনে একটি ছোট্ট নোট রেখে দিন। এই কাজটা করতে আপনার খুব বেশি সময় লাগবে না। খুব কম সময় তাকে আপনি অনেক বড় একটি খুশি দিতে পারেন। সে বুঝতে পারবে আপনি তাকে কতটা যত্ন করে আগলে রেখেছেন।
- সন্তান যা পছন্দ করে সেটাকে নিজের পছন্দ করে তুলুন। সন্তানের পছন্দই হওয়া উচিৎ আপনার পছন্দ।
- সন্তানকে তার যোগ্যতা বুঝতে সাহায্য করুন তাকে বোঝান সে আপনার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
- কখনো কখনো রাতে সন্তানকে নিয়ে হাটতে বের হতে পারেন। এতে করে নিজেদের ঘনিষ্ঠতা আরো গভীর হবে।
- আপনার নিজের বাল্যকালের গল্প করুন। আপনার ছোটবেলাটা কেমন ছিল, কিভাবে আপনি জীবনকে এতদূর এনেছেন। আপনার স্কুল জীবন কলেজ জীবনের গল্পগুলো তার সাথে করুন।
- তাদের সাথে তাদের পছন্দের সিনেমা দেখুন। সেই বিষয়ে গল্প করুন। সিনেমার বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চান। সিনেমা দেখার সময় পপকোর্ন, কোল্ড ড্রিংক কিনে দিন।
- আপনাদের পুরোনো স্মৃতিগুলো মাঝে মাঝে তুলে ধরুন। সব থেকে সুন্দর উপায় হলো পুরনো ছবিগুলো একসাথে বসে দেখুন ও গল্প করুন।
- প্রতিটি সন্তান যেটা চায় সেটা হলো আপনি তার গোপন চাওয়াগুলো বুঝতে পারবেন। তার চাওয়ার আগে তার পছন্দের খেলনাটি কিনে দিন অথবা তাকে একটি ভালো কাজের বিনিময়ে একটি সুন্দর উপহার দিন।
সন্তান চায় আপনার ভালোবাসা ও আপনার যত্ন। আশাকরি এই বিষয়গুলো আপনার সন্তানের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলবে।