সৃষ্টি কর্তার সকল সৃষ্টির মধ্যে নাকি মানুষেই সেরা। শুধু সেরা নয় বুদ্ধি জ্ঞান এবং সকল কাজ কর্মের মধ্যেও সেরা। আমরা যদি একটু চিন্তা করি কেন আমাদের জীবনের দিকটা তাহরে দেখবো আমরা শুধু কয়েটা দিনের মেহমান এই রহস্যময় দুনিযাতে।পৃথিবীতে অনেক মানুষ দেখা যাবে যাদের চাওয়া শেষ নেই। যত পায় তত চায় তাদের চাওয়ার যেন শেষ নেই।বিষয়টি বুঝানোর জন্য একটি গল্প বলি মন দিয়ে পড়ুন:
একটি গ্রামে একটি ছোট পরিবার ছিল তাদের পরিবারের সংখ্যা ছিল মাত্র দুজন তারা স্বামী স্ত্রী। খুব ভালোভাবে তাদের পরিবার চলছিল। তার স্বামি ১৫০০০ টাকা মাস একটি কোম্পানিতে চাকুরী করে। এইভাবে চলতে থাকে। হঠাৎ তার পদোন্নতি হলো সে ঐ কোম্পানির ম্যানেজার হয়ে গেল।এখন তার বেতন হলো ৫০০০০ টাকা। এই খবর তার স্ত্রী শুনে মহা খুশি হয়ে গেল। এর পর তারা ঐ স্থান অন্য স্থানে চলে যায় যেখানে বাসা ভাড়া ছিল ১০০০০ টাকা। তার স্ত্রী বললো সৃষ্টি কর্তা আমাদের অনেক সহয়তা করেছে আমাদের আর কিছু চাই না।
এই কথা শুনে তার স্বামী বললো এই তুমি কি বললে আমাদের ডাইরেক্টর মাসে এক লক্ষ্য টাকা আয় করে। আমিও তার মতো আয় করবো। সমাজে সবার থেকে বড় ব্যক্তি হয়ে ওঠবো। তার স্ত্রী তাকে বললো দেখ বেশি আশা লোভে পরিনত হয় আর লোভ একসময় ধ্বংসের মূল হয়ে ধারায়। কিন্তু সে তার স্ত্রীর কথা শুনে নি। কিছুদিন না যেতে সে তার অফিসের সকল খরচ এবং সকল কাজের মূ্ল্য থেকে প্রতিদিন কিছু না কিছু টাকা হাত চাফায় করতো এতে করে তার মাসিক আয় হতো এক লক্ষ্যেরও বেশি।এইভাবে কয়েক বছর যেতে ঐ কোম্পানির মালিকের চোখে বিষয়টি পরে।
এবং একদিন তাকে অফিসে ডেকে গত এক বছরের হিসাব জানতে চাইলো। সে সব হিসাব দিচ্ছে কিন্তু কোম্পানির সাথে মিলছে না।এতে করে একসময় সে তার ধরা পরে যায় এবং এতে তার চাকুরী হারায় তার সাথে আইনের হাতে তোলে দেওয়া হয়।এবং তার যত টাকা ছিল সব নিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে যা হলো তার স্ত্রীর চলার জন্য কষ্ট হয়ে গেল। কিছুদিন পর সে বাড়িতে এসে দেখে স্ত্রীর গায়ে একটি পুরানো কাপড় এই দেখে সে কেদে ওঠে এবং বলে জীবনে কখনো আর বেশি প্রত্যাশা করবো না। সৃষ্টিকর্তা যা দিবেন তা নিয়েই সুখে থাকবো।
অর্থ্যাৎ বন্ধুরা বিবাহিত জীবন হোক আর ব্যক্তিগত জীবন হোক কখনো বেশি প্রত্যাশা করা ভালো না। জীবনে যদি অল্প কিছু দিয়ে সুখি হওয়া যায় তবে কেন আমরা বেশি প্রত্যাশা করবো। একবার যদি দুচোখ বন্ধ হয়ে যায় তবে আমাদের সকল প্রত্যাশাও তার বন্ধ হয়ে যাবে। তাই বেশি প্রত্যাশা না করে যা আছে তা নিয়ে সুখে থাকি।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো। যে কোন বিষয় বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মতামত দরকার। কারণ হয়তো কেউ একজন ভুল পথে যাবেন আর সেখান থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য অন্যজন সাহা্য্য করবে। এবং একজনের কথা অন্য জনের কথা শুনা দরকার কারণ একজন স্ত্রী কখনো তার স্বামীর ক্ষতি হোক তা চায় না এবং এবং একজন স্বামীও চায় না যে তার স্ত্রীর কোন ক্ষতি হোক।
তাহলে বন্ধুরা আমরা কি বুঝতে পারলাম এখান থেকে যে বিবাহিত জীবনে কম প্রত্যাশায় সুখের মূল চাবিকাঠি। ততটুকু প্রত্যাশা করবো যতটুকু আমাদের জীবনকে চালিতে নিতে সহয়তার করবে।না হয় বেশি প্রত্যাশা আমাদের কাল হয়ে দাড়াবে আর বিপদে ফেলবে।
আর্ এই কথাগুলো আমাদের শুধু বিবাহিত পরিবারকে মানতে হবে তা নয়, সকলেও কিন্তু অনুসরন করতে পারি।